মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৫ এএম
সদ্য বিদায়ী ঈদুল ফিতরে যাতায়াতে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২৩২ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ২৫৬ দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত ও ৮৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশকালে এ তথ্য তুলে ধরেন। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারও এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদকেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি বিগত ২০১৬ সাল থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে আসছে, যা সর্বমহলে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিগত ঈদের থেকে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, নৌপথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশ কয়েক জোড়া নতুন রেল ও বগি সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি থাকায় জনসাধারণ আগেভাগে বাড়ি পাঠানোর সুযোগ কাজে লাগানোর কারণে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতিসহ সার্বিক পরিকল্পনা এবং বিগত ২০১৬ সাল থেকে ঈদযাত্রায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির ধারাবাহিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনগুলো গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়ে কাজে লাগানোর কারণে এবারের ঈদে বিগত বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ১৯.৩৯ শতাংশ, নিহত ২৪.১৭ শতাংশ ও আহত ৪৮.৯৯ শতাংশ কমেছে।
এ বছর মোট সংঘটিত ২৩২টি সড়ক দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্য যানবাহনগুলোর সংঘর্ষে, যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের ৩০ শতাংশ এবং মোট আহতের ১০ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা প্রায় ৪৫ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে এ দুর্ঘটনার প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৩০ মে থেকে ঈদ শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরা ১১ জুন পর্যন্ত বিগত ১৩ দিনে ২৩২ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ও ৮৪৯ জন আহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় ৪০ চালক, ২০ শ্রমিক, ৬৮ নারী, ৩৩ শিশু, ২৪ ছাত্রছাত্রী, দুই চিকিৎসক, ১৯ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, তিন রাজনৈতিক নেতা, ৯১২ জন পথচারী সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এ সময়ে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে আটটি, ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে দুইটি, ট্রেন যানবাহন সংঘর্ষে একটি, ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার দুইটি ঘটনায় মোট ১৩ জন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। একই সময়ে নৌপথে ১১টি ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, তিনজন নিখোঁজ ও আটজন আহত হয়েছেন।
সংঘটিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৭.৪৩ শতাংশ বাস, ২৩.৮৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩.৫৯ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান, লরি, ৮.২৫ শতাংশ কার-মাইক্রো, ৭.৬৬ শতাংশ অটোরিকশা, ৪.৪২ শতাংশ নছিমন করিমন ও ৪.৭১ শতাংশ ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯.৭৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪৪.৮২ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৯.৩৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনা ও ৬.০৩ শতাংশ অনান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ১০ দফা সুপারিশমালা ঘোষণা করা হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সড়ক নিরাপত্তায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য চলতি বাজেটে সড়ক নিরাপত্তা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি; জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলকে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা; চালক প্রশিক্ষণের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা; ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা; ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা; মহাসড়কে গতি নিরাপদ করা, ধীরগতি ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা আলাদা লেইনের ব্যবস্থা করা; মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা; ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধের আদেশ শতভাগ কার্যকর করা; সড়ক নিরাপত্তায় এরই মধ্যে যেসব সুপারিশ প্রণীত হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা এবং ঈদের আগে তিন দিন ও ঈদের পরে তিন দিন ঈদের ছুটি নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য ৪০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, আটটি অনলাইন দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়–য়া, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক প্রমুখ।
সূত্র:আলোকিত বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১১ জানুয়ারী ২০২১ সদ্য নির্বাচিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সস্পাদককে ফুল... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমানবাহিনীকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে ... বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমান্ত রক্ষা, মাদক, চোরাচালান সর্বোপরি দেশের সার্বভৌমত্ব র... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক ২০২১ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চলতি বছরের মতো আগা... বিস্তারিত
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বল... বিস্তারিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যা... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ: বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপির খেলোয়াড়দের গ্রুপ ও স্বাস্থ্য বীমা সুবি... বিস্তারিত
বিবিএস নিউজ : ধারাবাহিক বীমা দাবী পরিশোধের অংশ হিসেবে সম্প্রতি পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী... বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক// পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ননলাইফ বীমা কোম্পানী সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কো... বিস্তারিত